তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান কাতারের দোহা ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আসাদের শাসন ভেঙে পড়েছে এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে যাচ্ছে। ফিদান আরও উল্লেখ করেন, এটি রাতারাতি ঘটেনি। গত ১৩ বছর ধরে দেশটিতে অস্থিরতার ফলেই ঘটেছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের বিরুদ্ধে আসাদ সরকার কঠোর দমন নীতি গ্রহণ করে। তখন শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ এবং এর ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক লড়াইয়ে তুরস্ক সিরিয়ার বিরোধী বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তবে তুরস্কের অন্যতম প্রধান উদ্বেগ হলো, উত্তর সিরিয়ায় অবস্থিত কুর্দি গোষ্ঠী ওয়াইপিজি মিলিশিয়া। তুরস্ক মনে করে, এই গোষ্ঠী তাদের দেশে সক্রিয় বিদ্রোহী সংগঠন পিকেকে-র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
চলতি বছর তুরস্ক বাশার আল আসাদকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়। তবে সিরিয়ায় তুরস্কের সেনা উপস্থিতির কারণে আসাদ আঙ্কারার সাথে বসতে অস্বীকৃতি জানান।
এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-কে আলোপ্পো ও হোমস শহরে সফল হামলা চালানোর অঘোষিত সমর্থন দেন।
তুরস্ক আশঙ্কা করছে, এইচটিএস-এর কার্যক্রম তুরস্কের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সফল হয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা তুরস্কের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সিরিয়ার শাসন পতনের পটভূমিতে তুরস্কের ভূমিকা গভীর। এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বাড়ছে এবং আঙ্কারা ভবিষ্যতে এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল