সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়েছেন বলে দাবি করেছে তার মিত্র দেশ রাশিয়া। তবে আসাদ কোথায় আছেন বা তিনি কোন বিমানে যাত্রা করেছেন তা নিশ্চিত নয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় (গ্রিনিচ সময় সন্ধ্যা ৭টা) দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসাদকে বহনকারী একটি বিমান উড্ডয়নের কথা ছিল। তবে ফ্লাইটরাডার২৪ ওয়েবসাইটে তখন কোনো উড্ডয়নের তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিমান ওড়ার তথ্যে বিভ্রাট
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে চ্যাম উইংস এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস-এ৩২০ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহর উদ্দেশে দামেস্ক ছেড়ে যায়। এটি যথাসময়ে শারজাহতে পৌঁছায়। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন কূটনৈতিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আসাদ ওই বিমানে ছিলেন কিনা তা তিনি জানেন না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার সেনাবাহিনীর দুইজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দাবি, আসাদ রোববার ভোরে দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে উঠেছিলেন। একই সময়ে একটি কার্গো বিমানও উড্ডয়ন করে।
ফ্লাইটের রহস্যময় যাত্রাপথ
ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, কার্গো বিমানটি হোমস শহরের উপর দিয়ে উড়ে পূর্ব দিকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং এরপর বিমানটির উচ্চতা কমতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর বিমানটির সিগনাল হারিয়ে যায়। ফ্লাইটরাডার২৪-এর এক্সে (পূর্বে টুইটার) জানানো হয়, বিমানটি পুরনো এবং এর প্রযুক্তিগত ডেটা ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। বিমানটি এমন একটি অঞ্চলে উড়ছিল যেখানে জিপিএস সংকেত কাজ করছিল না।
দুর্ঘটনার কোনো খবর নেই
তবে ওই অঞ্চলে কোনো বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবুও আসাদের অবস্থান ও যাত্রা নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার সর্বশেষ প্রকাশ্য উপস্থিতি ছিল গত রবিবার। ওই সময় তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দামেস্কে বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের রাজধানী দামেস্ক দখলের মুখে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে দেশ ছাড়েন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল