ফিলিন্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযানকে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিলেন দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান মোশে ইয়ালোন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ তুললেন ইয়ালোন। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে চলছে এই যুদ্ধ। এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ। আর প্রধানমন্ত্রী যা করছেন, তা কেবল ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা। তিনি এখনও ৭ অক্টোবরের দায় স্বীকার করেননি, যদিও সেটি মূলত তারই দায়িত্ব।”
তিনি নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি সৈনাদের যুদ্ধাপরাধ করতে পাঠাচ্ছেন, আর বলছেন আপনি শান্তিতে ঘুমান? এই যুদ্ধের দায় কার? আপনি কি সত্যিই নির্ভার বিবেকে ঘুমাতে পারেন?”
সরকারের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে ইয়েলোন বলেন, “এ সরকার আমাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটি বদলানো এখন সময়ের দাবি।”
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়নেটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোশে ইয়ালোন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান সেনাপ্রধান তার সেনাদের গাজায় যুদ্ধাপরাধ করতে পাঠাচ্ছেন এবং ইসরায়েলি সরকার ‘ইহুদি নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত হয়েছে।”
ইয়ালোন বলেন, ইসরায়েল হামাসের কাছে বন্দীদের পরিত্যাগ করেছে। দেশটি গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান চালাচ্ছে।
মোশে ইয়ালোন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান এয়াল জামিরকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি ‘স্পষ্টভাবে কোনও অবৈধ আদেশ’ প্রতিহত করছেন না। বরং তার অধীনে সেনাদের যুদ্ধাপরাধ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন।
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন গাভির-এর গাজা পুরোপুরি দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে সেখান থেকে সরিয়ে ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ইয়ালোন বলেন, “জাতিগত নিধন, স্থানান্তর, নির্বাসন—যা–ই বলেন না কেন, এটা যুদ্ধাপরাধ।”
মোশে ইয়ালোন আরও বলেন, “স্মোট্রিচ ও ইতামার বেন গাভির হামাসের জায়গায় নতুন কাউকে আনতে চায় না। তারা সেখানে সামরিক শাসন ও ইসরায়েলি বেসামরিক প্রশাসন চায়।” সূত্র: মিডল ইস্ট আই
বিডি প্রতিদিন/একেএ