চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সাল পর্যন্ত অন্তর্বিভাগে রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে ৫২৩ জন এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে ৮ হাজার ৬৪০ জন। একই সময়ে ২০২৩-২৪ সালে অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে ৫২৪ এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে প্রায় ৭ হাজার রোগী। এভাবে প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস রোগী বাড়লেও চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা অত্যন্ত অপ্রতুল। ফলে রোগীদের নিয়মিতই দুর্ভোগ মাড়িয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। পড়তে হয় ভোগান্তিতে। আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস বিদস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘কর্মস্থলে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন’। দিবস উপলক্ষে চমেক হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের উদ্যোগে আগামীকাল সকালে হাসপাতলের কর্মচারীদের বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা এবং আগামী ১৬ নভেম্বর চমেকের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে দিবস নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডায়াবেটিস বিভাগটি মেডিসিনের অধীনে ছিল। ২০১৪ সালে ১৬টি শয্যা নিয়ে পৃথক বিভাগ হয়। প্রতিষ্ঠার প্রায় ১২ বছর পার করলেও এখনো শয্যা ১৬টিই (৮টি পুরুষ, ৮টি মহিলা)। তবে সংকটাপন্ন রোগীর জন্য নেই আইসিইউ, এইচডিইউ। নেই আউটডোর মেডিকেল অফিসার। ফলে বর্তমানে নিয়মিত বহির্বিভাগে রোগী দেখা সম্ভব হয় না। বর্তমানে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার দুই দিন বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। এখানে দৈনিক ১০০-১২০ জন রোগী চিকিৎসা নেন।