কবর জিয়ারতসহ নানা আয়োজনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন পালন করেছেন তাঁর ভক্তরা। গতকাল দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীর হোয়াইট হাউসের সামনে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিশাত ও নিনিতসহ নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কেক কাটেন। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় লেখকের পরিবারের সদস্য এবং বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কবর জিয়ারতের পর হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের ক্যানসার হাসপাতাল ও জাদুঘর নির্মাণে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন যেন পূরণ হয় সেজন্য আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে ধৈর্য ও মানসিক এবং শারীরিক শক্তি চাই। আমি খুবই সৌভাগ্যবান, হুমায়ূন আহমেদের সৈনিকেরা যাঁরা আমার আশপাশে রয়েছেন, তাঁরা সবাই হুমায়ূন আহমেদ ও নুহাশ পল্লীর শুরু থেকে রয়েছেন। আমরা হয়তো থাকব না, কিন্তু তাঁর সৈনিকেরা থাকবেন। একদিন এই সৈনিকেরাই হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন পূরণ করবেন।’
নুহাশ পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবারের? মতো এবারও হুমায়ুন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশ পল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে? রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও নুহাশ পল্লীতে আসেন তাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের সমাধিস্থলে। তারা নুহাশ পল্লীতে এসে হুমায়ূন আহমেদের কবরে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সাজানো-গোছানো নুহাশ পল্লীর সবুজ গাছ, বিভিন্ন স্থাপনা এবং নান্দনিক শিল্পকর্ম ঘুরে দেখেন তারা।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। পরে ২৪ জুলাই তাঁকে নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।