গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বলেছেন, ইসরায়েলকে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন তিনি।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত কিছুদিনে গাজায় যা ঘটছে তা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলকে অবিলম্বে এসব অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবিক সংস্থাকে সহায়তা দিতে হবে, যাতে দ্রুত খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী গাজার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।”
তিনি স্বীকার করেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের বিষয়ে নীরব থাকার অভিযোগে সরকার ব্যাপক জনসমালোচনার মুখে পড়েছে, এমনকি বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকেও সমালোচনা হচ্ছে। এর জবাবে মিতসোতাকিস বলেন, “আমরা নীরব নই। গ্রিস ও ইসরায়েলের কৌশলগত মিত্রতা থাকলেও আমাদের অবশ্যই মিত্রদের কাছে কঠিন সত্যগুলো বলতে হবে।”
বক্তব্যে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী ইইউয়ের “রিআর্ম ইউরোপ” কর্মসূচিতে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন। গ্রীক ও গ্রীক-সাইপ্রাস প্রশাসন এই উদ্যোগে আপত্তি জানালেও ইউরোপীয় কমিশনের আলোচনায় তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এই বিষয়ে মিতসোতাকিস বলেন, “এই মুহূর্তে ব্রাসেলসে কী আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কোনো তৃতীয় দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে গেলে—বিশেষ করে প্রার্থী দেশের ক্ষেত্রে—সকল ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতি প্রয়োজন, আর গ্রিস ও সাইপ্রাসের ‘যুক্তিসংগত উদ্বেগ’ অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।”
মিতসোতাকিস জানান, গ্রিস সরকার তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা একদিকে গ্রিসের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি, অন্যদিকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এই সম্পর্ক ইতোমধ্যে অভিবাসন, পর্যটন ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পরিষদের আওতায় বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম