মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিল্লি। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে তিন জন। এর মধ্যে একজন পুলিশ। আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন। গতকাল রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর-পূর্ব দিল্লি কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষের এবং বিপক্ষের আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ১০টি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গতকালের সংঘর্ষে দুই পক্ষই ইট-পাথর ব্যবহার করেছিল। সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল রবিবারেই। ভজনপুরা এবং মৌজপুর অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীরা। রবিবার তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সিএএ-পন্থিরা। দুপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। তারই মধ্যে বিক্ষোভকে উসকে দেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। দাবি করেন, ট্রাম্পের সফরের জন্য তারা কিছু করছেন না। তিন দিনের মধ্যে পুলিশ সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকারীদের তুলে না দিলে তারাই ব্যবস্থা নেবেন। কপিল মিশ্রের এই বিবৃতি শোনার পর আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দফায় দফায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। গতকাল পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে গুলিও চলে। তবে সেই গুলি কারা চালিয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ এখনো পর্যন্ত কিছু জানায়নি। দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তারই মধ্যে এক পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বিকালে সেই পুলিশের মৃত্যু হয়। নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি। বন্দুকধারীর পরিচয় এখনো জানায়নি পুলিশ। গতকালই সপরিবারে দুই দিনের ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাতে দিল্লি গেছেন। এর মধ্যেই পরিস্থিতি এমন চরম আকার ধারণ করায় উদ্বেগ বাড়ছে সাউথ ব্লকের। শান্তি বজায় রাখতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আহ্বান জানিয়েছেন।