শিরোনাম
বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা সংকটে চ্যালেঞ্জের মুখে ইউরোপের ঐক্য

করোনা সংকটে চ্যালেঞ্জের মুখে ইউরোপের ঐক্য

করোনা সংকটের জের ধরে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানোর প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা ঐকমত্যের চেষ্টায় গতকাল আলোচনায়  বসেছেন। মূলত করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি সংকটের কারণে বিধ্বস্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রায় সব দেশই সাধ্যমতো প্রণোদনা ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে।

এমন প্রেক্ষাপটে উভয় সংকটে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রাষ্ট্রজোট হিসেবে পারস্পরিক সংহতির ভিত্তিতে গভীর সহযোগিতাই ইইউর মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এ পর্যন্ত একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ইইউ সমষ্টিগতভাবে সমাধানসূত্র খুঁজে এসেছে। করোনা সংকটের মুখেও অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে নীতিগতভাবে ঐক্যের সুর শোনা গেলেও সহযোগিতার পথ নিয়ে চরম মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। ইতালি ও  স্পেনের মতো দেশ বাজারে ‘করোনা বন্ড’ ছেড়ে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ইউরোপে মন্দা মোকাবিলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছে। অন্যদিকে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশ বিপর্যয় মোকাবিলার দায় মূলত জাতীয় স্তরেই সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষে। ‘করোনা বন্ড’ এর বদলে ইউরোপীয় স্তরে সাধারণ সংকট মেটানোর যে সব সুযোগ আছে, সেগুলোরই সদ্ব্যবহার করার পক্ষে সওয়াল করছে তারা। নতুন বন্ডের মাধ্যমে ইতালির মতো দেশের বিশাল ঋণভারের ভাগীদার হতে চায় না এসব দেশ। উল্লেখ্য, অতীতেও বিশেষ করে দক্ষিণের দেশগুলোর ঋণভারের দায় নিয়ে এমন বিরোধ দেখা গেছে। ‘করোনা বন্ড’-এর প্রবক্তারা সেই আশঙ্কা দূর করতে এই তহবিল সাময়িক রাখার ও শুধু করোনা সংকট মোকাবিলার জন্য সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে এমন বিরোধ দানা বেঁধেছে।  ইউরোগ্রুপের প্রধান মারিও চেন্তেনো জানিয়েছেন, আপাতত প্রায় ৫০ হাজার কোটি ইউরো মূল্যের এক ‘সেফটি নেট’ তহবিলের বিষয়ে ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে। এমন পদক্ষেপের প্রশ্নে তেমন কোনো মতবিরোধ হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরো এলাকার বেলআউট তহবিল কাজে লাগিয়েই সেই ‘সেফটি নেট; এর ব্যবস্থা করার কথা চলছে। কোনো দেশ নিজস্ব ক্ষমতায় বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে এই কাঠামোর সহায়তা নিতে পারবে। এ ছাড়া ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের এক গ্যারান্টি তহবিল গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে।

ইউরোপের মানুষ কীভাবে এই উদ্যোগের সুফল পাবেন? চরম বেকারত্ব এড়াতে বিপর্যস্ত কোম্পানিগুলোর শ্রমিক ও কর্মীদের মজুরি বা বেতন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কর্মসংস্থান ও করের ক্ষেত্রে ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডয়েচে ভেলে

সর্বশেষ খবর