মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপিতে ক্ষোভ

প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপিতে ক্ষোভ

যেভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গের গদি চাই ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। আর এ উত্তেজনার মধ্যে দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে দলটি। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই ক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে দলের ভিতরে। পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির স্থানীয় নেতারা চারটি আসনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজেরা প্রার্থী দেওয়ার কথা এর মধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। যারা ভোটে দাঁড়াবেন ‘সমন্বয় মঞ্চ’-এর ব্যানারে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতারা। আলোচনার মাধ্যমেই রাজ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়, যা দুই দফায় ঘোষিত হয় শনিবার। সে তালিকা অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি কেন্দ্রে প্রার্থী রাজীব কুন্ডু, গড়বেতায় মদন রুইদাস, খড়্গপুর গ্রামীণে তপনভুঁইয়া ও মেদিনীপুরে টাউনে জেলা সভাপতি শমিত দাস। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি নিজের প্রার্থীপদ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও তিনটি কেন্দ্রে নিজের পছন্দের মানুষদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন।

অনেক নেতার অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শও নাকি মেদিনীপুরে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানা হয়নি। বরং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব সাংগঠনিক স্তর ছাড়াও পেশাদার সমীক্ষক সংস্থাকে দিয়ে প্রতিটি এলাকায় দলের নেতাদের কাজকর্ম, সাধারণের মধ্যে তাদের প্রভাব, জনপ্রিয়তা যাচাই করে এবং বিশেষ করে নেতাদের ভাবমূর্তি খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে একই প্রক্রিয়ায় প্রার্থী বাছাই করে সাফল্য এসেছিল। এবার বিধানসভা ভোটেও সেই পরীক্ষিত ও প্রমাণিত রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছেন অমিত শাহ। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সম্মতি তিনিই দিচ্ছেন।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যদিও মানতে চাইলেন না গেরুয়া শিবিরের এই ‘ভিতরের খবর’। বরং তাঁর দাবি, ?‘শুধু ?উচ্চতর নেতৃত্ব কোনো এজেন্সির মাধ্যমে খবর নিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করছেন, এ খবরটা ঠিক নয়। আমাদের ৩৬৫ দিনের পার্টি। সংগঠনের কথা নিঃসন্দেহে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ। জেলার সাংগঠনিক প্রধানরা এবং রাজ্যের যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা বলে নামের তালিকা তৈরি করে তারপর সংসদীয় বোর্ড এবং সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সেটা সর্বসম্মতভাবেই হচ্ছে।’ আর মেদিনীপুরের প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ, প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা নিয়ে শমীক বলেন, এটা ভুল খবর। যারা এটা ছড়াচ্ছেন তারা ভুল খবর ছড়াচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর