শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

এক মাসে যেভাবে আবারও করোনার গ্রাসে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের ৯৮ শতাংশের বেশি বাসিন্দা এখন এমন এলাকায় বসবাস করেন, যেখানে কভিড-১৯-এর কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গণসংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা ‘উচ্চ’ বা ‘উল্লেখযোগ্য’। এক মাস আগেও এই হার ছিল ১৯ শতাংশ। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন বলছে, হঠাৎ সংক্রমণের মাত্রা এতখানি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন এবং অনেক এলাকায় টিকাদানের নিম্নহার।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দুটি সূচকের ভিত্তিতে কমিউনিটিতে সংক্রমণ পরিমাপ করছে- প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা এবং পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার হার। দুই সূচকই পরিমাপ করা হচ্ছে সাত দিনের গড়ের ভিত্তিতে। যেখানে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ জনের কম সংক্রমিত হচ্ছে এবং পরীক্ষায় কভিড শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কম, সেসব জায়গাকে সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে থাকা এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর সেসব জায়গাকে ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকা বলা হচ্ছে, যেখানে প্রতি এক লাখের মধ্যে ১০০ জন সংক্রমিত হচ্চে। গত পাঁচ সপ্তাহের পরিসংখ্যান থেকে দেখে যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে খুব দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।

কমিউনিটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সিডিসির পক্ষ থেকে আবারও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে এবং জরুরি ভিত্তিতে দেশজুড়ে টিকাদানের গতি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

সিডিসি এখন পরামর্শ দিচ্ছে, সংক্রমণের ‘উল্লেখযোগ্য’ বা ‘উচ্চ’ ঝুঁঁকির এলাকাগুলোতে চার দেয়ালের ভিতরে জনসমাগমেও মাস্ক পরতে হবে, টিকা দেওয়া থাক বা না থাক। কোনো কাউন্টির সংক্রমণ পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়ে সিডিসির ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হচ্ছে এবং সপ্তাহে কয়েকবার তা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

সিডিসি বলছে, নতুন ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে লড়তে টিকাই এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার’। বর্তমানে মানুষের হাতে থাকা কোনো টিকাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে পুরোপুরি রুখতে পারছে না। তবে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা মৃত্যুঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিচ্ছে টিকা।

সর্বশেষ খবর