ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া গান্ধীকে অর্থনৈতিক দুর্নীতিসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে ভারতের দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ করেছেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পি চিদম্বরম, অজয় মাকেনসহ কংগ্রেসের কয়েক জন নেতাকে গতকাল আটক করে দিল্লি পুলিশ।
বুধবার রাত থেকেই দিল্লির ২৪ আকবর রোডের কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে লোহার ব্যারিকেডের প্রাচীর তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সকাল থেকেই আকবর রোডের অদূরে জমায়েত শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা নাগাদ কন্যা প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে জেরার মুখোমুখি হতে সোনিয়া উপস্থিত হন এ পি জে আবদুল কালাম রোডে ইডির দফতরে। আড়াই ঘণ্টা পর প্রথম দিনের মতো জেরা শেষ হয়।
ওই মামলায় সোনিয়া, রাহুলসহ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সে মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত জুনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে জেরা করেছিল ইডি। পাঁচ দিন ধরে জেরার জন্য রাহুলকে দফায় দফায় মোট ৫০ ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হয়েছিল ইডি দফতরে। সে সময় সোনিয়াকেও হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কভিড আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে তখন অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদিকে দুপুরে সোনিয়া ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য রওনা দেওয়ার পরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুরু হয় বিক্ষোভ। সে বিক্ষোভ ঠেকাতে দিল্লি পুলিশ লাঠি, জলকামান ব্যবহার করে। রাজস্থান, বেঙ্গালুরু, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন রাজ্যেও বিক্ষোভ হয়।
তে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ লাঠি চালালে উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন।