শিরোনাম
রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

মুম্বাইয়ে ২৬/১১ ধাঁচে ফের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

মুম্বাইয়ে ২৬/১১ ধাঁচে ফের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে যে ধাঁচে হামলা হয়েছিল ঠিক একইভাবে ফের হামলা হতে পারে, এমন হুমকি দিয়ে মেসেজ এলো মুম্বাই পুলিশের কাছে। গতকাল মুম্বাই পুলিশের    ট্রাফিক কন্ট্রোলকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ মধ্য মুম্বাইয়ের ওরলিতে অবস্থিত মুম্বাই পুলিশের ট্রাফিক  কন্ট্রোল রুমের হেল্পলাইনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ২৬/১১ স্টাইলে হামলার হুমকি সংবলিত একাধিক মেসেজ আসে।

হুমকির মেসেজ প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানভিত্তিক একটি ফোন নম্বর থেকে এসেছে। মেসেজে আরও জানানো হয়, ভারতে এই নাশকতা চালাবে ছয় ব্যক্তি। মেসেজ প্রেরকের ফোন লোকেশন পাকিস্তানে বলে জানা গেছে।

গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ। অন্য তদন্তকারী এজেন্সিগুলোকেও এই হুমকির মেসেজ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। এদিকে এই হুমকি মেসেজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুম্বাইবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

তিন দিন আগেই ১৮ আগস্ট মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে অস্ত্রবোঝাই একটি নৌকা ধরা পড়ে। ওই নৌকা থেকে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরই মহারাষ্ট্রজুড়ে   আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় থানা ও সন্ত্রাস দমন শাখা তদন্তকারী কর্মকর্তারা এবং তদন্ত শুরু করে তারা। এরপর ভারতের আরেকটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’এর একটি বিশেষ টিমকেও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তার পরই হুমকি দিয়ে এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘লস্কর-ই-তৈয়্যবার হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বাই। সে সময়ও সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ে    ঢুকেছিল ১০ জন অস্ত্রধারী জঙ্গি। তারা সেখানে তাজ হোটেল, হাসপাতাল, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়। এতে মৃত্যু হয়েছিল ১৬৬ জনের, আহত হয় প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ। আটক করা হয় আজমল কাসভ নামে এক জঙ্গিকে। আদালতের নির্দেশে পরে তার ফাঁসিও হয়।

 

সর্বশেষ খবর