শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড

সুইডেনের আবেদন ঝুলিয়ে রাখল তুরস্কের পার্লামেন্ট

ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড

ন্যাটোর সদস্য হওয়া এখন ফিনল্যান্ডের জন্য সময়ের ব্যাপার। এর মধ্যে দেশটির ক্ষমতাসীন দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্মেলনও চলছে। প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন ফিনল্যান্ডের ভান্তায় তার নির্বাচনী সমাবেশের পর সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন -এএফপি

অবশেষে ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড। এতদিন দেশটির সদস্য হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তুরস্ক। তবে পরশু তুরস্কের পার্লামেন্ট দেশটিকে অনুমোদন দেয়। আর এতে নর্ডিক দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের ৩১তম সদস্য হওয়ার পথ খুলে গেছে। রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত থাকা ফিনল্যান্ড ‘সন্ত্রাসীদের’ মদদ দিচ্ছে এই অভিযোগে আঙ্কারা দীর্ঘদিন হেলসিঙ্কির আবেদন ঝুলিয়ে রেখেছিল।

গত বছরের মে মাসে প্রতিবেশী সুইডেনও ফিনল্যান্ডের সঙ্গেই ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার আবেদন করেছিল। কিন্তু ‘সন্ত্রাসীদের’ মদদ দেওয়ার একই অভিযোগে আঙ্কারা এখনো সুইডেনের আবেদন ঝুলিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবারের ভোটে তুরস্কের ২৭৬ আইনপ্রণেতার সবাই ফিনল্যান্ডের পক্ষে ভোট দেন। ন্যাটোর ৩০ সদস্যের সবাই এখন ফিনল্যান্ডকে নতুন সদস্য হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত। এর আগে হাঙ্গেরির তরফ থেকেও সমর্থন পাচ্ছিল না দেশটি। তবে এ সপ্তাহের প্রথমে হাঙ্গেরিও বিষয়টি মেনে নিয়েছে। এর ফলে আগামী জুলাই মাসে ন্যাটোর নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে চলেছে ফিনল্যান্ড।

ন্যাটোতে নতুন কাউকে ঢোকাতে হলে জোটভুক্ত সব দেশের সমর্থন লাগে। তুরস্কের আগে ন্যাটোর বাকি ২৯ সদস্য দেশ ফিনল্যান্ডের ন্যাটোভুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছিল। তুরস্কের সমর্থনও মিলে যাওয়ায় এখন জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ায় হতে যাওয়া পরবর্তী সম্মেলনেই ফিনল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যুক্ত করে নেওয়া হবে। তুরস্কের পার্লামেন্টে তাদের আবেদন নিয়ে ভোটের পর ফিনল্যান্ড সরকার বলেছে, ন্যাটো জোটে যোগ দিলে দেশের নিরাপত্তা যেমন জোরদার হবে, তেমনি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতারও উন্নতি ঘটবে। তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের পর ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন টুইটারে লিখেছেন, ‘মিত্র হিসেবে, আমরা সুরক্ষা দেব ও নেব। আমরা সবাই একে অপরকে সুরক্ষা দেব। ফিনল্যান্ড বর্তমানে যেমন সুইডেনের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে এবং এর ন্যাটোভুক্তির আবেদনে সমর্থন দেবে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান এ মাসের শুরুর দিকে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোভুক্তির ব্যাপারে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছিলেন। তুরস্কের নিরাপত্তার ব্যাপারে হেলসিঙ্কির নেওয়া ‘খাঁটি ও সুদৃঢ় পদক্ষেপের’ প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সুইডেনের ব্যাপারে তার আপত্তি এখনো প্রবল। দেশটি কুর্দি ‘জঙ্গিদের’ আশ্রয় দিয়ে তাদের স্টকহোমের রাস্তায় কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের। রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত আছে ফিনল্যান্ডের। কামানের সংখ্যা বিবেচনায় এটি পশ্চিম ইউরোপের অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ভান্ডারের অধিকারী। রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর ফিনল্যান্ড তাদের ‘নিরপেক্ষতা’ নীতিতে বদল এনে পশ্চিমাদের সঙ্গে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত নেয়।

সর্বশেষ খবর