বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনে এএফপির সাংবাদিক নিহত

ইউক্রেনে এএফপির সাংবাদিক নিহত

আরমান সোলদিন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধকবলিত এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তার নাম আরমান সোলদিন (৩২)। মঙ্গলবার বাখমুতের ঠিক পশ্চিমে চসিভ ইয়ার এলাকায় নিক্ষিপ্ত রকেট বিস্ফোরণে নিহত হন তিনি। তিনি ফরাসি নাগরিক ছিলেন। বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের একটি দলের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের একটি টিম হামলার মুখে পড়ে। সোলদিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুদ্ধক্ষেত্রের সামনের সারিতে থেকে করা তার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছেন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘আমরা তার প্রিয়জনদের ও সহকর্মীদের বেদনা শেয়ার করছি।’ এএফপির চেয়ারম্যান ফাব্রিস ফ্রাইস জানিয়েছেন, সোলদিনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তিনি বলেছেন, ‘এই মৃত্যু ইউক্রেনের যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিদিন যে বিপদ ও ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন তা ভীষণভাবে মনে করিয়ে দিচ্ছে।’ গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর সেখানে যাওয়া এএফপির প্রথম দলের অংশ ছিলেন সোলদিন এবং সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। বসনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী সোলদিন ইউক্রেনে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হওয়া ১৫তম সাংবাদিক বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট। সোলদিনের পাশাপাশি এঁদের মধ্যে আরও দুই ফরাসি সাংবাদিক আছেন। বাখমুত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল হয়ে আছে।

রুশ সেনারা পালিয়েছে -ওয়াগনার প্রধান : ইউক্রেনের বাখমুতে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই রাশিয়ার একটি সামরিক ইউনিটের সেনারা পালিয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিয়েভের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের আগেই এমন খবর এলো। টেলিগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় মঙ্গলবার তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিট, বাখমুতের কাছের নিজেদের অবস্থান পরিত্যক্ত করে আমাদের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে পালিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কমান্ডারদের নির্বুদ্ধিতার জন্য রুশ সেনারা পালিয়ে যাচ্ছেন। কমান্ডারের বোকামির জন্য কোনো সেনার মৃত্যু কাম্য নয়। তারা যে নির্দেশনা পায় এটি পুরোপুরি বে?আইনি। ওয়াগনার প্রধানের এমন বিবৃতির পর মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, অ্যাসল্ট সেনারা বাখমুতে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। রুশ প্যারাট্রুপাররা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাখমুতে সেনা পালিয়ে যাওয়া নিয়ে ইভজেনি প্রিগোজিনের অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর