পাকিস্তান অবশ্য নিজের পায়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য তাকে অন্য দেশের কাছে হাত পাততে হয়েছে। তাদের মিত্ররা চীন থেকে শুরু করে সৌদি আরব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় কেয়ারটেকার সরকারের হাতেই পাকিস্তানের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অক্টোবর মাসে সে দেশে নির্বাচন হবে। তার আগেই অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের হাতে দেশের দায়িত্ব দেওয়া হবে। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগামী মাসেই দেশ চালানোর ভার দেওয়া হবে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের হাতে। গত বছরের এপ্রিল মাসে আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসেন শাহবাজ শরিফ। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পূর্বসূরি ইমরান খান দেশকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। সেই ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই পাকিস্তানকে টেনে বের করতে পেরেছি আমরা।’ কেয়ারটেকার সরকার অক্টোবরের নির্বাচন পর্যন্ত দেশ চালাবে। শাসক দল এবং প্রধান বিরোধী দলের দুই প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে প্যানেলের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে যে কোনো একজনকে। তিনিই নির্বাচন পর্যন্ত সরকারের প্রধান হিসেবে থাকবেন।