উন্নয়নে তার ‘মডেল’ কত দূর সোনা ফলাতে পারে, কয়েক দিন আগেই তা পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে। এ বার সেই ‘মডেলের’ হাতছানি দিয়ে ত্রিপুরাতেও বাম শাসনে ইতি টানার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগরতলার আস্তাবল মাঠের উপচে পড়া ভিড়কে মমতা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘‘এখানকার ছেলেমেয়েরা সাইকেল পেয়েছে? গরিবরা দু’টাকায় চাল পেয়েছে? বিনা পয়সায় ওষুধ পেয়েছে? ২৩ বছর বামেরা শাসন করল, তিনটা হাসপাতাল তৈরি করতে পেরেছে?’’
প্রতিটি প্রশ্নেই যখন সমস্বরে জবাব এল ‘না’— তখন দু’সেকেন্ডের বিরতি নিলেন মমতা! তারপর বললেন, ‘‘তা হলে দেরি করছেন কেন? বদলান, পাল্টান। তাড়িয়ে দিন সিপিএম-কে। ২০১৮-র ভোটের পর এই মাঠেই বিজয় উৎসব করব। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এখানেও সবুজ সাথী হবে, কন্যাশ্রী হবে, শিক্ষাশ্রী হবে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে।’’
এরপর তিনি বললেন, ‘‘মনে করবেন না ত্রিপুরাকে চিনি না। এখানকার ধর্মনগর, কমলপুর, উদয়পুরে বহু বার এসেছি। বাংলা আর ত্রিপুরা যমজ বোনের মতো। ত্রিপুরা ভাল থাকলে বাংলা ভাল থাকে। ত্রিপুরা খারাপ থাকলে বাংলারও মন খারাপ হয়।’’
বস্তুত এই ‘খারাপ থাকার’ প্রসঙ্গেই আজ বার বার ত্রিপুরার মানুষের বঞ্চনার অভিযোগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেন কৌশলী মমতা। বামেদের প্রতি তার ঝাঁঝালো আক্রমণও ধেয়ে আসে সেই সূত্রেই। ক্ষণিকের জন্য তখন এ-ও মনে হয়, এই মমতা মুখ্যমন্ত্রী নন, বিরোধী নেত্রী। বাম শাসনের পতন ঘটাতে সেই পুরনো জেদ। সেই আগ্রাসন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/১০ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৮