৩ অক্টোবর, ২০২০ ২১:০৩

হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় মমতা

ফাইল ছবি

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছর বয়সী এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবার পথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। শনিবার বিকালে কলকাতার বিড়লা তালামন্ডল থেকে মেয়ো রোডে অবস্থিত গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দলের নেতৃত্ব দেন মমতা। করোনার মতো মহামারীকে উপেক্ষা করেও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সেই মিছিলে পা মেলান দলের একাধিক সাংসদ, বিধায়ক, নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। 

মিছিল শেষে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষণে হাথরসের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মমতা বলেন ‘কোন অপরাধ হলে মানুষ বিশ্বাস করে যে পুলিশ পদক্ষেপ নেবে ও বিচার হবে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে একটা মেয়ের ওপর অত্যাচার হলো। এরপর বাড়ির লোকেদের আটকে রেখে, তাদের হাতে লাশ না দিয়ে রাতের অন্ধকার মোদি সরকার, বিশেষ করে যোগী সরকার লাশটাকে জ্বালিয়ে দিল। নীরবে দাফন করে দিল। এই জিনিস কতদিন চলবে? আজ শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, গোটা দেশেই এই জিনিস চলছে। দিল্লিতে দাঙ্গায় কত মানুষ মারা গেছেন কেউ জানে না। আমি কিছু বললেই বলবে ও (মমতা) তো মুসলমানদের তোষামোদ করে। কিন্তু আমি বিজেপির লোকেদের বলবো যখন মুসলমান বিপদে পড়ে তখন আমি তাদের পাশে দাঁড়াই। আবার দলিত, আদিবাসীরা বিপদে পড়লে আমরা সবাই মিলে পাশে দাঁড়াই। এটাই আমাদের মানবিকতা।’ 

বিজেপিক মমতার হুঁশিয়ারি ‘মানুষ হয়ে যখন জন্মেছি তখন একদিন মারা যাব-ই। কিন্তু বিজেপির কাছে ভয় পেয়ে নয়, কাপুরুষের মতো নয়। আমরা লড়াই করবো এবং জিতবো এবং দেখিয়ে দেবো যে বিজেপি-ই দেশের ভবিষ্যত নয়।’ 

দলিত নিগ্রহের প্রতিবাদে আগামী কয়েকদিন রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও ব্লক স্তরেও বিক্ষোভ এবং মিছিলে কর্মসূচির ঘোষণা দেন তৃণমূল নেত্রী। 

অন্যদিকে হাথরস’এর ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে কলকাতা মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে বাম ও কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন সিপিআইএম’এর রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। 

এর আগে দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবারই হাথরসে যাওয়ার পথে বাধা পায় তৃণমূল কংগ্রেসের চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। যে দলে ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ কাকুলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ প্রতিমা মন্ডল এবং সাবেক সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর। কিন্তু নির্যাতিতার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তাদের পথ আটকায় যোগীর পুলিশ। শুধু তাই নয় তৃণমূলের নারী সদস্যদের পুলিশের হেনস্থার মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোও মোমবাতি মিছিল করে তৃণমূলের নারী সংগঠনের সদস্যরা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর