বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে পুলিশে নতুন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট

আনিস রহমান

জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে পুলিশে নতুন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট

সারা দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষায়িত ‘অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট’ গঠন করছে সরকার। ইতিমধ্যে এই ইউনিট গঠনের প্রায় সব ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। অপেক্ষা শুধু বিধি প্রণয়ন ও নতুন এ ইউনিটের লোগো নির্বাচন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলেছে, দেশের যে কোনো স্থানে নিজের ক্ষমতাবলে অপারেশন চালানো, গ্রেফতার ও তদন্তকাজ পরিচালনা করতে পারবে পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিট। আপাতত এটিইউ’র সদর দফতর থাকছে ঢাকায়। পরবর্তীতে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে এর একটি করে আঞ্চলিক ইউনিট গঠিত হবে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী এ ছাড়া কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পথভ্রষ্টদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাসহ বেশকয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করবে বাহিনীটি। ইতিমধ্যে ৫৮১ জনবল নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে বিশেষায়িত এ ইউনিট। ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. আবুল কাশেম। এ ছাড়া এ ইউনিটের ডিআইজি দিদার আহমেদ, এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামান, হারুন অর রশীদ এ ছাড়া ৯ জন পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালন করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও এ ইউনিটের মোট জনবল হচ্ছে ৫৫৩ জন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের জন্য একটি বিধি প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদর দফতর থেকে নতুন এ ইউনিটের জন্য কয়েকটি লোগো পাঠানো হয়েছে নির্বাচনের জন্য। ওই লোগোগুলো দেখে কিছু সংযোজন ও বিয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই কাজটুকু হলেই লোগো নির্বাচনের কাজ শেষ হবে। লোগো কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সুন্দরবন হচ্ছে আমাদের ম্যানগ্রোভ, আমরা চাই লোগোতে সুন্দরবন, সুন্দরবনের ঐতিহ্য গোলপাতা আমাদের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ ও পুলিশের লোগোতে ব্যবহার হওয়া নৌকা প্রতীক থাক। বর্তমানে বারিধারায় সোহরাওয়ার্দী এভিনিউয়ে বহুতল বিশিষ্ট একটি ভাড়া বাড়িতে এই ইউনিটের সদর দফতরের কার্যক্রম চললেও নিজস্ব ভবনের জন্য ঢাকার পূর্বাচলে দশ একর জমি বরাদ্দ করেছে সরকার। আপাতত তারা পূর্বাচলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যে পুলিশ লাইন আছে সেখানে অস্থায়ী ভাবে কাজ করছে। কর্মকর্তারা জানান, বিধি প্রণয়ন না হলেও প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জঙ্গিবিরোধী বড় বড় অভিযান চালিয়ে সফলতা পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা বলেন, এই ইউনিট জঙ্গি দমনে যা যা করা দরকার সবটাই করবে। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গি দমনে অভিযান পরিচালনা, সাইবার ক্রাইম রোধ, টেররিস্ট ফাইন্যান্স ও জঙ্গি দমনে সচেতনতা বৃদ্ধি উল্লেখ যোগ্য। বাহিনীটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৬টি জিপ, দুটি সোয়াট ভ্যান, আটটি ডাবল কেবিন পিকআপ, একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি ট্রাক, একটি আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), একটি প্রিজন ভ্যান, একটি ওয়াটার ট্রেইলার ও ১০টি মোটরসাইকেল দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর