মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বৃহস্পতিবার রাতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
এনটিআরসিএর সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম জানিয়েছেন, এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে ফল দেখা যাবে। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষায় পাস করাদের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিনের মামলা জটিলতার পর এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হলো। http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/-এ ঠিকানায় গিয়ে ফল জানতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন এ ফলের জন্য আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। অবশেষে তারা ফল পেয়েছেন। করোনা সংকটের এমন দুঃসময়ে ওই বিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ হওয়ায় প্রায় অর্ধলাখ বেকারের মুখে হাসি ফুটছে। জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্ট এ নিয়োগের বিষয়ে একটি রায় দেয়। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার একটি নির্দেশনা ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করতে হবে। কিন্তু দুই বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন রিটকারীরা। তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে ২০১৯ সালে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদে নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ বিরত রাখতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে গত ৬ মে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ দেয় হাই কোর্ট। এই সঙ্গে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদধারীর মধ্যে যারা বঞ্চিত মনে করে আদালতে গিয়েছিলেন, তাদের সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপর ৩১ মে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী ও অবমাননার আবেদনকারীদের উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এনটিআরিসিএ। এ আপিলের ভিত্তিতে রিটকারীদের আবেদন খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এতে শিক্ষক নিয়োগের সব বাধা কেটে যায়।
