মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

মহামারীর ধাক্কায় পিছিয়ে পড়েছি

ফারুক হাসান

মহামারীর ধাক্কায় পিছিয়ে পড়েছি

পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান বলেছেন, মহামারী করোনাভাইরাসের ধাক্কায় তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ২০২০ সালে পেছনে ফেলেছে প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। তাদের শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা অনেক বেশি। তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা- ডব্লিউটিও ২০২১ সালের প্রতিবেদন যখন প্রকাশ করবে, তখন বাংলাদেশ ফের দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসবে। আগামীতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ২০২০ সালে ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক পণ্য রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে আমাদের রপ্তানি ভিয়েতনামের চেয়ে বেশি আছে। আমরা আবারও তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসব। তিনি আরও বলেন, দেশীয় বাজারে ক্রমবর্ধমান হারে ইয়ানের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। পোশাকশিল্পের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গণটিকাদান কার্যক্রম নেওয়ায় এসব দেশে দোকানপাট খুলছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে পোশাকশিল্পে প্রচুর ক্রয়াদেশ এলেও উদ্যোক্তারা তা নিতে পারছেন না, শুধু স্থানীয় পর্যায়ে ইয়ানের অনিশ্চিত ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় মিলগুলো ইয়ানের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে, যা এককথায় অসহনীয়। ন্যূনতম সময়ের মেয়াদ দিয়ে প্রোফর্মা ইনভয়েস (পিআই) দিচ্ছে, যে সময়ের মধ্যে এলসি খোলা দুরূহ। অথচ ক্রেতাদের সঙ্গে অর্ডার কনফার্ম হতেও তার থেকে অনেক গুণ বেশি সময় লেগে যায়। এ কারণে অনেক উদ্যোক্তা অর্ডার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে লোকসান দিয়ে অর্ডার নিচ্ছেন শুধু কারখানা চালু রাখতে। আর ক্রেতারা শুধু এফওবি দেখছেন, মূল্য বাড়াচ্ছেন না, যার ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকশিল্প প্রতিযোগী সক্ষমতা ক্রমেই হারাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর