শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

অপছন্দের জামাইকে গাছে বেঁধে বেদম পিটুনি শাশুড়ি গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

মেয়ে যাকে বিয়ে করেছেন তাকে পছন্দ হয়নি করিমুল ইসলামের। তাই তিনি জামাই নাসিরুল ইসলামকে কৌশলে ডেকে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন। জামাই পিটুনিতে অংশ নেন শ্বশুর-শাশুড়ি আর কনেবাড়ির লোকজন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শাশুড়ি সেলিনা আক্তারকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জামাই নাসিরুলের বাড়ি রাণীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ী মধ্যপাড়ায়। পাশের গ্রাম বগুড়াপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকদের বেধড়ক পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা নাসিরুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবনতি হলে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার বিকালে নাসিরুল ছিলেন তার এলাকার বাজারে। সেখান থেকে তুলে আনেন শ্বশুর ও তার লোকজন। পরে ভাংবাড়ী বগুড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে তাকে পিটুনি দেওয়া হয়। দৃশ্যটি বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

জানা যায়, রাণীশংকৈল ভাংবাড়ী বগুড়াপাড়ার করিমুল ইসলামের মেয়ে কেয়ামণির সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম চলে ঢাকায় গার্মেন্টের চাকুরে নাসিরুলের। কেয়ামণি বিয়ের জন্য চাপ দিলে ঢাকা থেকে এসে নাসিরুল দেখা করেন। ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও আদালতে বিয়ে করে দুজনে ঢাকায় চলে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মাতব্বররা ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে নিয়ে আলোচনায় বসেন।

আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়- প্রেমের এ বিয়ে মেনে নেওয়া হবে।  দম্পতিকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আসার পর তাদের আলাদা রাখা হয়।

পরে সোমবার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। কেয়ামণি আর নাসিরুলকে আলাদা করে দেন কনের বাবা।

তারপর জামাইর ওপর নির্যাতন। ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে নাসিরুলের গ্রামের লোকজন শুক্রবার মানববন্ধন করেন। তারা দোষীদের অবিলম্বে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সর্বশেষ খবর