শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশে বাংলায় প্রথম ককবরক ভাষার বই

কুমিল্লা প্রতিনিধি

দেশে বাংলায় প্রথম ককবরক ভাষার বই

দেশে বাংলা বর্ণমালায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মাতৃভাষা ককবরক ভাষার প্রথম বই প্রকাশ করা হয়েছে কুমিল্লায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইব্রেরিতে গতকাল এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ত্রিপুরা শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে ককবরক ভাষার বই তুলে দেন। বই হাতে পেয়ে শিশুরা পড়তে শুরু করে ‘আং বাংলাদেশ ন হামজাগু’ (আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি)। এতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুরসহ অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মাঝে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্রমতে, গত ২৭ মার্চ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিশুদের মাতৃভাষা ককবরক ভাষায় পাঠদানের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় স্থানীয়দের দাবি ছিল তারা যেন নিজের ভাষার বই পান। সেই দাবি পূরণের উদ্যোগ নেন সদর দক্ষিণ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ। ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর ও জামুড়া এলাকায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৪৫-৫০ জন বসবাস করেন। কালের বিবর্তনে ত্রিপুরা অধ্যুষিত এ এলাকায় এই সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি এখন বিলুপ্তির পথে। তাদের জন্য স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে ইংরেজি বর্ণমালায় ককবরক ভাষার বই থাকলেও বাংলা বর্ণমালায় এই প্রথম এ ভাষার বই প্রকাশ করা হলো। কুমিল্লা ত্রিপুরা পল্লী সমবায় সমিতির সভাপতি সজিব ত্রিপুরা বলেন, আমরা ককবরক ভাষায় কথা বলতে পারি। তবে চর্চা না থাকায় ভুলতে বসেছিলাম আমাদের মাতৃভাষা। প্রশাসনের আন্তরিকতায় আমাদের প্রজন্ম আবারও মাতৃভাষা শিখতে পারবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আমরা ২৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে ককবরক ভাষার বই তুলে দিলাম। এ ভাষা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এই বই সারা দেশের ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন চাইলে নিতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর