বরিশাল নগরীর বান্দ রোডের নদীবন্দর এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় নাস্তার দাম নিয়ে বিরোধের জেরে এক ক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় তাকে রক্তাক্ত জখমসহ তার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বিক্ষুব্ধরা দোকান ভাঙচুর এবং রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের মারধর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দোকান কর্মচারীকে পুলিশী নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধদের ইটের আঘাতে ২ পুলিশসহ ৪ জন আহত হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত দোকানিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে থানার সামনে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে সৌরভ ঢালী নামে এক ব্যক্তি ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারে নাস্তা করে। খাবারের দাম বেশি রাখা নিয়ে ক্রেতা ও দোকান কর্মচারী ভবতোষ সাহা ভানুর মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে দোকান কর্মচারীরা সৌরভকে মারধর করলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে সৌরভ রক্তাক্ত জখম হয় এবং তার দাড়ির একাংশ ছিঁড়ে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মিষ্টান্ন ভান্ডার ভাঙচুর এবং কর্মচারীদের মারধর করে। হামলার শিকার ব্যক্তি চরমোনাই পীরের অনুসারী হওয়ায় বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে পীরের বহু অনুসারী যোগ দেয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান কর্মচারী ভানুকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। এতে এসআই সেলিমসহ পুলিশের দুই সদস্য এবং অপর দুইজন সামান্য আহত হয়। পরে দোকান ম্যানেজার ভানুকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় পুলিশ। সৌরভ ঢালীর দাবি, নাস্তায় বেশি দাম রাখার প্রতিবাদ করায় তার উপর হামলা করেছে দোকান কর্মচারীরা। দোকান ম্যানেজার ভবতোষ সাহা ভানুর দাবি, ক্রেতা সৌরভ আগে দোকান কর্মচারীদের মারধর করেছে। এ সময় কর্মচারী ও ক্রেতার মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঁঞা জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। অভিযুক্ত দোকান ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।