শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

৬১০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল যাত্রীবাহী জাহাজ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারে সংঘর্ষ ও নদীর নাব্য সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর অবশেষে এ রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি মিলেছে। গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৬১০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন রওনা দেয় এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামে দুটি জাহাজ। সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমতি মেলে। পারিজাত ও রাজহংস পরীক্ষামূলকভাবে সেন্টমার্টিন গেছে। ৬১০ যাত্রী দুই জাহাজে রয়েছে।

সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলে ভ্রমণপিপাসুরা খুশি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। প্রিয়জনদের নিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারব জেনে অনেক ভালো লাগছে।’

সন্ধ্যায় জাহাজ চলাচলের অনুমতির খবর শুনে রাতেই টিকিট কেটে ফেলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার নজরুল হোসেন। রাতেই কক্সবাজার চলে আসেন তিনি। ভোরে টেকনাফ দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেন। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার পাশের জেলা হওয়ায় পৌঁছাতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। অনেকদিন ধরে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যেহেতু ছুটি শেষ হওয়ার আরও চার দিন আছে। মন চাইল সেন্টমার্টিন থেকে ঘুরে আসি।’

সেন্টমার্টিন পর্যটন ব্যবসায়ী তৈয়ব উল্লাহ বলেন, এ সিজনে প্রথমবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ শুরু হয়েছে। অনেক দেরিতে হলেও এটা দ্বীপের মানুষ ও বিনিয়োগকারীদের স্বস্তির সংবাদ।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক খরায় ভুগেছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এতে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবে পর্যটন খাত।’

সর্বশেষ খবর