মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বিরিয়ানিতে অন্য প্রাণীর মাংস পাওয়া যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুলতানস ডাইনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে শুনানি করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর (ডিএনসিআরপি)। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এই শুনানিতে সুলতানস ডাইনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সুলতানস ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ব্যক্তিকে খুঁজে পাননি ডিএনসিআরপির কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সুলতানস ডাইনে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। ফলে অভিযোগ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। রেস্তোরাঁটি সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, সুলতানস ডাইন ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান, কাপ্তানবাজার’ নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির মাংস সংগ্রহ করে থাকে। কাপ্তানবাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে অভিযুক্ত সুলতানস ডাইনে মাংস পৌঁছায়।

 ডিএনসিআরপির সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সুলতানস ডাইনের গুলশান-২ শাখা সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। সোমবার অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জিএম, এজিএম এবং ওই শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সুলতানস ডাইনের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন। আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড় চিকন হয়। এদিকে যে মোবাইল নম্বর থেকে সুলতানস ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তাও বন্ধ পাওয়া যায়। তাই খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতানস ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, রেস্টুরেন্টের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভোক্তা আইনের কোনো ব্যত্যয় আমরা পাইনি। এ ছাড়া অভিযানে গিয়ে আমরা মাংস সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের মাংস সংগ্রহ করেছে এবং তারা সেটি পরীক্ষা করছে। সুলতানস ডাইনের মতো ঢাকায় আরও যত বড় প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক। তিনি বলেন, মাংসের ক্ষেত্রে সেটি কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এর রেকর্ড রাখতে হবে। হালাল প্রক্রিয়ায় মাংস সংগ্রহ করতে হবে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সুলতানস ডাইনের কাচ্চিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সুলতানস ডাইনের গুলশান-২ শাখায় অভিযান চালায়।

সর্বশেষ খবর