রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

র‌্যাবের অভিযানে বৃদ্ধ নিহত, আহত দুই র‌্যাব সদস্য

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামি আটক অভিযানে গেলে র‌্যাবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। র‌্যাব বলছে, হামলায় র‌্যাব-১১ এর চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এর দুজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। অন্যদিকে ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল কাশেম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হুমায়ুন কবির (৪৩) নামে আরও একজন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শুক্রবার সোনারগাঁওয়ে এক গার্মেন্টকর্মী নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি সেলিমকে আটকে অভিযান চালানোর সময়ই র‌্যাবের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। তারা সেলিমকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গোয়েন্দা এবং জেলা পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আসামিকে ছিনিয়ে নিতে দুর্বৃত্তরা দেশি অস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ফাঁকা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তবে সেলিমকে আটক করে নিয়ে আসতে র‌্যাব সক্ষম হয়েছে। গতকাল সকালে আমরা জানতে পারি, একজন মারা গেছেন। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা আমরা নিশ্চিত নই। নিহত আবদুল কাশেমের স্ত্রী রমিজা বেগমের অভিযোগ, তাদের পরিচিত গার্মেন্ট শ্রমিক সেলিমকে ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় তার স্বামী খুন হয়েছেন। সাদা পোশাকের একজন নিজেকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে তার পেটে গুলি করেন।

জানা গেছে, বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সেলিমের বাড়িতে অনশন করার হুমকি দিয়েছিলেন প্রেমিকা গার্মেন্টকর্মী রোজিনা আক্তার (৩৪)। তবে সেলিমের পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার প্রস্ততি নিয়েছিল। এর মধ্যে রোজিনার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সেলিমকে আটক করতেই র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা তার বাড়িতে হানা দেয়। সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন সিজান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আবদুল কাশেম মারা যান। তার পেটে একটি বুলেটের চিহ্ন আছে। সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এখনো জানা যায়নি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর