শনিবার, ২০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘরোয়া বৈঠকে খালেক, মধু মসজিদে খুতবায় আউয়াল

খুলনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

জুমার দিন হওয়ায় গতকাল খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রায় সব প্রার্থীই বিভিন্ন এলাকায় জুমার নামাজ আদায় করেন। এ সময় তারা মসজিদ ও আশপাশ এলাকায় মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একই সঙ্গে দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে মেয়র প্রার্থীরা বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তারা বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তফসিল অনুযায়ী খুলনা সিটি নির্বাচনে ২৫ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১২ জুন ভোট। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক গতকাল খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে খুলনাস্থ তেরখাদা উপজেলাবাসী ও তেরখাদা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মিলনমেলায় অংশ নেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী বাদশা মিয়া ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়কালে তালুকদার আবদুল খালেক খুলনাকে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান। তিনি নগরবাসীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে ভোটের দিন অবশ্যই কেন্দ্রে আপনারা ভোট দিতে যাবেন। আমাদের দলীয় একটা পার্সেন্টিজ আছে এবং এর সঙ্গে সাধারণ ভোটারও আছেন, তাতে আমি মনে করি অন্তত ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ ভোট কাস্ট হবে।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়াল গতকাল বসুপাড়া এতিমখানা জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবা দেন ও ইমামতি করেন। পরে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া বিকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ও রাতে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু গতকাল সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় জুমার নামাজ আদায় ও মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি বিকালে নগরীর দৌলতপুরে মুহসীন কলেজের মোড়ে জাতীয় পার্টির অফিস উদ্বোধন ও ঘরোয়া বৈঠকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জানা যায়, নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ ও ১০টি সংরক্ষিত আসনে আরও ২৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২ ও সংরক্ষিত আসনে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সর্বশেষ খবর