মিশ্র ফলের বাগান যেন বৃক্ষের মেলা। বাগানে প্রবেশকালে দেখা যাবে গাছে গাছে ঝুলছে মাল্টা, কমলা, থাই বারোমাসি আম, ড্রাগন, সৌদি খেজুর, গৌরমতি আমসহ বিভিন্ন জাতের ফল। ফলের ভারে ডাল নুইয়ে পড়েছে।
কয়েক শ জাতের ফলের বাগান গড়েছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউপির বর্ষা এলাকার মো. ইমরুল আহসান। তিনি দিনাজপুর হর্টিকালচারের সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা। তিনি গড়ে তুলেছেন তাসনিয়া এগ্রো রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। বাণিজ্যিকভাবে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। একটি পরিত্যক্ত জায়গাকে চাষ উপযোগী করে ভালো ফলনে তার সফলতার অনুপ্রেরণায় বেকার যুবকসহ অনেকে মিশ্র ফলের বাগান পরিদর্শন করছেন এবং অনেকে এসব বাগান করতে সংকল্প করছেন। ইমরুল আহসান জানান, বাগানে থাই কাঁচামিঠা, ভ্যালেন্সিয়া প্যারাইড, ক্যালিসিনান প্যারাইড, লেডিজেল, আমেরিকার পালমরগ্রিন, কেস্ট কেইট, ফিলিপাইনের অলটাইম, সিঙ্গাপুরী, গৌরমতি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, ঊষাপন্নি, ব্রুনাই কিং, তাইয়ান গ্রিন, রেলি মার্বেলসহ ১০০ জাতের আম গাছ রয়েছে। এক বছরেই ফল ধরে। কিন্তু পরের বছর থেকে বেশি আম ধরে। একটি গাছে ২০০-৩০০টি ফল ধরে। এসব গাছের চারা দেশি-বিদেশি নার্সারি থেকে আনা হয়েছে দুই বছর ধরে। তিনি বলেন, বাগানে অস্ট্রেলিয়ান, কাশ্মীরি, সামার রাম্বু, হরিমন ৯৯, আন্না, ডরসেড, রেড গ্লোবসহ ১০ জাতের আপেল রয়েছে। ইউমেন, অস্ট্রেলিয়ান, কারাতিসহ ১৫ জাতের আঙুর, দার্জিলিং জাতের ৪টি, সাতকি, থাই কমলা, থাইল্যান্ডের খিউওনি, নাগপুরি, বারি-১, চাইনা-২, পাকিস্তানি-১ ও ২, কেনুসহ ২০ জাতের কমলা, থাই সাদা জাম, কোরিয়ান জাম, পটল জাম, ভারতীয় জাতের জাম গাছ, বারি-১, বারি-৩, ৪, ৬, ফিলিস্তিনি জাম্বুরা, ভিয়েতনামি জাম্বুরা, সাদা জাম্বুরা, খানপুরি, থাই বারোমাসি জাম্বুরা মগ ১৫টি জাতের জাম্বুরা, সফেদা বারি-১ ও থাই কালাপাতি গাছ রয়েছে। এ ছাড়াও সুদানী, থাই ও ভারতীয় জাতের শরিফা, ১০ জাতের আনার, বারোমাসি শজনা, সিডলেসসহ তিন জাতের লেবু, শাহি, রেডকুইন, ববিু, টকলেডি জাতের পেঁপে, তিন জাতের আখও রয়েছে।
