ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, এই নারী কমিশনের প্রস্তাব জনরোষ উসকে দেবে এবং সরকারকে জনসমর্থনহীন করে দেবে। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে তাদের প্রস্তাবে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে তা কল্পনাও করা যায় না। পতিত ফ্যাসিবাদও যে সাহস করেনি তারা সেই দুঃসাহস দেখিয়ে শতভাগ ধার্মিকের দেশের পারিবারিক আইন থেকে ধর্মকে বাতিল করার প্রস্তাব করেছে। তাদের এই ঔদ্ধত্য কোনোভাবে সহ্য করা হবে না।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, এই কমিশন নারীদের কল্যাণের জন্য প্রস্তাব তৈরি করার জন্য গঠন করা হয়েছে, কিন্তু তারা নারীদের জন্য অসম্মান ও অভিশপ্ত জীবনের প্রস্তাব করেছে। কোনো নারীই স্বেচ্ছায় কেবলই টাকার জন্য যৌনকর্ম করে না। বরং পাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের এ ক্ষেত্রে আটকে থাকতে হয়। নারীর জন্য যে কোনো কল্যাণকর প্রস্তাবে তাদের এই অভিশপ্ত জীবন থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টা থাকার কথা অথচ এই কমিশন তাদের এই বাধ্যতামূলক কাজকে ‘পেশা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার মাধ্যমে নারীর জন্য যা অভিশাপ তাকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই কমিশন তাদের প্রতিবেদনে যে ধরনের ভাষা ও যুক্তি ব্যবহার করেছে তা বাংলাদেশের নারীদের ভাষা ও যুক্তি নয়। এগুলো পশ্চিমা বিকৃত ভাষা ও যুক্তি। নারীর উন্নয়ন ও মুক্তিকল্পে গঠিত একটা কমিশনের সব সদস্য কেন পশ্চিমা চিন্তা ও নির্দিষ্ট ঘরানার হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ সরকার সংস্কারের ক্ষেত্রে জনমানুষের সমর্থনপুষ্ট। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, এ সংস্কার প্রস্তাব জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সরকারকে বিপদগ্রস্ত করার অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অবিলম্বে এ কমিশনের প্রস্তাবকে সরকারিভাবে প্রত্যাখ্যান করে কমিশনকে বাতিল করতে হবে। আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, নারী কমিশন ইসলামবিরুদ্ধ প্রস্তাব দিলেও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একে সাধুবাদ জানানো হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। এটা জাতিকে হতাশ করেছে।