ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আবারও পুরোদমে চালু হয়েছে। টানা ১৭ দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গতকাল সকাল থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে ফেরেন। শুরু হয় বহির্বিভাগ, রোগী ভর্তি, অস্ত্রোপচারসহ হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম। এর আগে ২৮ মে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের সংঘর্ষের পর নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ থেকে বিরত থাকেন। এতে দেশের সবচেয়ে বড় চক্ষু বিশেষায়িত হাসপাতালটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়েন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা। ৪ জুন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ আংশিক চালু করা হয় এবং ১২ জুন চালু হয় বহির্বিভাগ। এর এক দিন পর পুরোদমে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরে হাসপাতাল। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ঈদের ছুটিতে বাড়ি থেকে ফিরে আসা জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে গেটের বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায় আহতদের একটি অংশকে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহত ৫৪ জনের মধ্যে ৫০ জন রিলিজ না নিয়েই চলে গেছেন। আমরা তাদের অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করছি। বাকি চারজন হাসপাতালে আছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের ছাড়পত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে জুলাই আহতদের আর এই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে অবস্থানরত আহতদের ছাড়পত্র প্রস্তুত করা হলেও গেটের বাইরে থাকা অন্যদের উপস্থিতি এখনো হাসপাতালের নিরাপত্তায় হুমকি। তারা বাইরে অবস্থান করছে এবং এতে ভিতরের চিকিৎসা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। এখনো চিকিৎসক-নার্সরা পুরোপুরি নিরাপদ বোধ করছেন না।