ফরিদপুরের নগরকান্দায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ভুয়া র্যাব পরিচয়দানকারীদের আটকে মারধর করেছে জনতা। এ সময় ভুয়া র্যাব সদস্যের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চর যশোরদী ইউনিয়নের জয় বাংলার মোড় এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হর্ন দিতে দিতে দ্রুতগতিতে ছুটছিল একটি মাইক্রোবাস। সেটির কিছুটা পেছনে ছুটছিল আরেকটি মাইক্রোবাস। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় মহাসড়কে গাছ ফেলে প্রথম মাইক্রোবাসটিকে থামান স্থানীয় লোকজন। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের র্যাব বলে পরিচয় দেন। তবে কারও গায়ে র্যাবের পোশাক ছিল না। সন্দেহ হয় স্থানীয় লোকজনের। ওই ব্যক্তিরা পালাতে চেষ্টা করলে তাদের আটকে মারধর শুরু করেন স্থানীয় লোকজন। এমন সময়ে সেখানে পৌঁছে দ্বিতীয় মাইক্রোবাসটি। এতে ছিলেন র্যাবের প্রকৃত সদস্যরা। যদিও কয়েকজনের গায়ে ইউনিফর্ম ছিল না।
তারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে তারাও পিটুনির শিকার হন। একপর্যায়ে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে শান্ত করে দুই পক্ষকে উদ্ধার করেন।
আটক ভুয়া র্যাব সদস্যরা হলেন- শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ছাব্বিশপাড়া গ্রামের স্বপন খান (৪৪), চাঁদপুরের মদনা গ্রামের মিন্টু গাজী (৪৫), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কুনসিবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩২), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আন্ডারচর গ্রামের জামিল (৩২) ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামের দিদার (২৯)। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে।
নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে বাগেরহাট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের বাস থেকে নামিয়ে ভুয়া র্যাব সদস্যরা মাইক্রোবাসে করে খুলনার দিকে যাচ্ছিল।
র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার তারিকুল ইসলাম জানান, কয়েকজন র্যাব সদস্য সাদা পোশাকে থাকায় স্থানীয়রা চিনতে ভুল করেন। পরে ভুয়া র্যাব সদস্যদের কাছ থেকে র্যাবের পোশাক, হাতকড়া, ওয়াকিটকি ও খেলনা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।