রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার দুই গ্রামের কয়েক একর ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীররক্ষা বাঁধ, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এতে শঙ্কিত স্থানীয়রা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চলা এ ভাঙনে অসহায় হয়ে পড়েছে নদীতীরবর্তী মানুষ। সবকিছু হারিয়ে অনেকেই এখন সহায়সম্বলহীন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা দিলেও এবার শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে নদীরক্ষা বাঁধ। এটি ভেঙে গেলে নদী তীরবর্তী চন্দন শহর, গোপালপুরসহ পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রাম বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যেতে পারে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অসময়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চারঘাটের গোপালপুর ও চন্দনশহর গ্রামের কয়েক একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফাটল ধরেছে আরও ১০০ ফুট এলাকায়। স্থানীয় জমসেদ আলী বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও গত ১৯ বছরে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্কুল শিক্ষক মোকলেসুর রহমান বলেন, ভাঙনে প্রতি বছরই বসতভিটা হারাচ্ছে মানুষ। অসময়ের ভাঙনে মানুষের তেমন প্রস্তুতিও থাকে না।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।