বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী দেশটিকে জানানো হয়েছে যে, নিজের দেশের উন্নয়নমূলক চাহিদা মেটাতে আরও বেশি পানির প্রয়োজন। গত এপ্রিলে ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং তাদের কাউন্টার পার্টের সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদার কারণে চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে নতুন করে চুক্তি হলেও তা হবে আরও স্বল্প সময়ের জন্য, সম্ভবত সেই চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছর স্থায়ী হবে। এ স্বল্প সময়ের জন্য চুক্তি হলে ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশই পরিবর্তনশীল অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে এবং নমনীয় হতে সহায়তা করবে। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছরের। ২০২৬ সালে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সর্বভারতীয় দৈনিক ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানায়, ‘গত মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা এ চুক্তিটি আরও ৩০ বছরের জন্য বাড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম; কিন্তু পরবর্তীকালে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়।’ পত্রিকাটি ওই কর্মকর্তার বরাতে জানায়, ‘এটি একটি রুটিং বৈঠক ছিল। বছরে দুবার এ বৈঠক হয়। কিন্তু এ বৈঠকে দেশের উন্নয়নের জন্য ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল এবং যেটা নতুন চুক্তির শর্তাবলিকে প্রভাবিত করবে।’