এবার চীনে বসেই ইউক্রেনকে নতুন হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন যদি চুক্তি করতে রাজি না হয় তবে রাশিয়া তার সব উদ্দেশ্য অর্জনে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আছে।”
ইউক্রেনের উদ্দেশে পুতিন বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করো, নয়তো আমি বলপ্রয়োগ করে তা শেষ করতে বাধ্য করব।”
চীনে বুধবার এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার পর এমন মন্তব্য করেন পুতিন। তার এই মন্তব্যকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধ অবসানে পুতিনকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রাশিয়ার এই নেতা ট্রাম্পের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই পথে যাননি। যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স সেক্রেটারি জন হিলি কিয়েভ সফরের সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ট্রাম্প পুতিনকে আলোচনার টেবিলে এনেছেন এবং তাকে আরও চাপ দেওয়ার সম্ভাবনা উঁড়িয়ে দেননি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো পুতিনের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে.... এবং ইউক্রেনকে যুদ্ধে টিকে থাকতে অতিরিক্ত সহায়তা দিতে ইচ্ছুক।
গত মাসে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে তাকে আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে বের করে এনেছেন ট্রাম্প। তিনি পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি করানোর চেষ্টাও করেছিলেন।
বুধবার পুতিন বলেন, আমি কখনেও এমন বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিইনি। কিন্তু এর কি কোনও অর্থ আছে? দেখা যাক। পুতিন আরও বলেন, এ ধরনের বৈঠকের ফলাফল পেতে হলে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় এবং জেলেনস্কি সবসময়ই মস্কোয় তার সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন।
তবে জেলেনস্কির মস্কো যাওয়ার বিষয়টি যে ‘অগ্রহণযোগ্য’ তা বোধগম্য বলে দ্রুত উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে বৈঠক করার বিষয়ে পুতিনের অস্বীকৃতিকে রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাড়াতে আহ্বান জানানো একটি উপায় হিসেবে তুলে ধরেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ