ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার অন্তত ৪৬ আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৩০০ আসনের পুনর্নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকার চূড়ান্ত তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত সীমানা নিয়ে আর কোনোভাবে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, এবার গাজীপুরে গতবারের চেয়ে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে; বাগেরগাটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৫৪ সীমানা বহাল রাখা হয়েছে, বাকিগুলোয় পরিবর্তন এসেছে। এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসি ৩০ জুলাই ৩০০ আসনের খসড়া প্রকাশ করেছিল; এরপর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
‘এবার খুব সুচারুভাবে ও বিশেষায়িত কমিটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা সীমানা নির্ধারণ করেছি। এখন নির্বাচন প্রস্তুতির অন্যান্য কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজটি শেষ হওয়ায় ইসির কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হলো’, বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন বেশি এসেছে। এবার অন্তত ৪৬ আসনের সীমানায় পরিবর্তন এলো।
যদিও ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ৩৯ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ঢাকা-৩, কুমিল্লা-৯, ঢাকা-১৯, সিলেট-১ আগের অবস্থায় ফিরেছে এবং সেই সঙ্গে আরও কিছু আসনে দাবি-আপত্তি আসায় পরিবর্তন এসেছে।
খসড়া নিয়ে ৮৪ আসনের আপত্তি এবং সুপারিশ আবেদন জমা হয় ১ হাজার ৮৯৩টি। ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট টানা চার দিন ওইসব আবেদনের শুনানির পর চূড়ান্ত এ তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এতে দেখা যাচ্ছে, ওই খসড়া তালিকায় যেসব আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল, সেগুলো আবারও পরিবর্তন করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।