২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে তৃণমূলের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে। গতকাল রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এ আহ্বান জানান।
‘দ্য পাওয়ার অব লোকাল : হাউ গ্রাসরুটস কমিউনিটিস ড্রাইভ এসডিজি অ্যাচিভমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস)।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, বাংলাদেশ দারুণ উন্নতি করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন- সমন্বয়, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। তাদের সফলতাই বাংলাদেশের সফলতা। গোল টেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের ভিশন আছে কিন্তু সেটিকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে স্থানীয় অংশীদারদের ক্ষমতায়ন, তাদের স্বায়ত্তশাসন রক্ষা এবং উন্নত তথ্য ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা জরুরি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রধান ড. মাইকেল ক্রেজা বলেন, এসডিজি শুধু ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নীতির মাধ্যমে সফল হতে পারে না, স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময় সহযোগিতা করেছে। বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস, ইউএনওপিএস বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধরন, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির প্রমুখ। এ ছাড়াও বৈঠকে সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, তরুণ প্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতারা অংশ নেন।