গণমাধ্যমে বিভক্তি ও গ্রুপিং খুবই বেশি। নিজেদের মধ্যে দলাদলি ও কোন্দলের কারণে সাংবাদিকরা বেশি হয়রানির শিকার হন। সাংবাদিকরা যদি এক না হন, তাহলে গণমাধ্যম কখনো স্বাধীন হবে না। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, আজকে সাংবাদিক সমাজ বিভক্ত। এই বিভক্তির জন্য সরকারকে দায়ী করলে চলবে না। আমাদেরকেই এই বিভক্তি কাটিয়ে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা মানে শুধু মালিকের সুরক্ষা নয়, পেশাজীবীদের সুরক্ষাও।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, প্রথম আলো পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মো. জাহেদ উর রহমান, দ্য ডিসেন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির, সিনিয়র সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ, জায়মা ইসলাম, এনএইচকে টিভির বাংলাদেশ প্রতিনিধি পারভিন এফ চৌধুরী, জি-নাইন এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রমুখ। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেল লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সরকারকে খুশি করতে তাদের পছন্দনীয় কথা আবেদনে উল্লেখ করেছে। আবেদন পত্রেই তারা জানিয়ে দেয় যে তারা রাজনৈতিক দলের চিন্তা চেতনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। এসব আবেদনপত্রের ভিত্তিতেই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে গত পনেরো বছর।