নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে ২০৩০ সালে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বাংলাদেশের বছরে ৯৮০ মিলিয়ন বা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ লাগতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী এ অর্থ প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি খাতে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস’ (আইইইএফএ)। গতকাল আইইইএফএ তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নবায়নযোগ্য খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে বছরে ৯৮০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হতে পারে। আর ২০৪০ পর্যন্ত এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নীতিগত অনিশ্চয়তা, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা মুদ্রা ঝুঁকি ও অবনতিশীল সার্বভৌম ঋণমান এ খাতে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে বলে জানায় আইইইএফএ। গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক ও বাংলাদেশের জ্বালানি খাতবিষয়ক আইইইএফএ-এর প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য পূরণে এ বিপুল অর্থের চাহিদা শুধু সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যাপক বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার সম্প্রতি সৌর বিদ্যুতের ইনভার্টারের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। একইভাবে ছোট আকারের সৌর প্রকল্পে ব্যবহৃত প্যানেল, এফআরপি ওয়াকওয়ে, মাউন্টিং স্ট্রাকচার ও ডিসি ক্যাবলের শুল্ক কমালে এ খাতে যথেষ্ট সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবুজ তহবিল থেকে পুনঃঅর্থায়নের পরিবর্তে আগাম অর্থায়নের ব্যবস্থা চালু করলে বিলম্ব কমবে এবং অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া সহজ হবে।
আইইইএফএর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি অনুমোদিত নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশে বড় আকারের বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এজন্য নীতিমালার মাধ্যমে একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়েও পরামর্শ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।