গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা সাত আসামি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। শনিবার রাতে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দুলাল চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিমান্ডে আসামিদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আসামিরা তাদের অপরাধের জীবন, অতীত কর্মকাণ্ড এবং হত্যার বিষয়ে নানান তথ্য তুলে ধরেন। আসামিদের দেওয়া তথ্যসমূহ যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। জানা গেছে, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার পর পুলিশ ও র্যাব বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হচ্ছেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুরের মোবারক হোসেনের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৪), একই জেলার সুলাইমানের মেয়ে, কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপী (২৮), খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার ময়লাপোতা এলাকার হানিফের ছেলে আল আমীন (২১), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন (২৮), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার অনন্তরপুরের হানিফ ভূইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়িয়ার কিয়ামুদ্দিন হাসানের ছেলে ফয়সাল হাসান (২৩) ও শেরপুরের নকলা উপজেলার চিতলিয়ার আবদুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শনিবার রাতেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাংবাদিক তুহিনের লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শহিদুল ইসলাম নামে এক আসামিকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। সে এ মামলায় সম্পৃক্ত নয়। ঘটনার দিন হানিট্র্যাপ করা বাদশা মিয়াকে মারধর ও কোপানোর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তায় একটি হানিট্র্যাপ ঘটনায় মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করেছেন।