দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে তিন কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্য থেকে এই তিন কার্গো এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৪২ কোটি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৮ টাকা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (১৯-২০ অক্টোবর ২০২৫ সময়ের জন্য ৪২তম) এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১১ দশমিক ৪৪ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৬ টাকা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডার কানাডিয়ান কমার্সিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪র্থ ও ৫ম লটের মোট ৮০,০০০ মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রস্তাবনার ডকুমেন্ট অনুযায়ী, দুই লটের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৩৫৪.৩৫ কোটি টাকা। প্রথম লটে প্রতি মেট্রিক টনের খরচ নির্ধারিত হয়েছে ৩৬১ মার্কিন ডলার, আর দ্বিতীয় লটের খরচও একই হারে ধরা হয়েছে। এই আমদানি দেশের সারের চাহিদা পূরণ এবং ফসলের মৌসুমে সম্ভাব্য সংকট এড়াতে সহায়ক হবে বলে জানানো হয়। এদিকে রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি (মিউরিয়েট অব পটাশ) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় করা হবে। এটি চুক্তির প্রথম লট।