বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্তবাণিজ্য জোট আঞ্চলিক বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিতে (আরসিইপি) যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ, হংকং, শ্রীলঙ্কা ও চিলি। গতকাল দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চীন সমর্থিত আরসিইপি বর্তমানে ১৫ দেশ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের ১০ সদস্য। ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অন্তর্ভুক্ত করে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে চলমান আসিয়ান বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে আরসিইপি কর্মকর্তারা জানান, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জোটের তেমন কোনো আপত্তি নেই। তারা হংকং, শ্রীলঙ্কা, চিলি ও বাংলাদেশকে সদস্য হিসেবে নিতে প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছেন। ইন্দোনেশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়া রোরো এসতি বিদ্যা পুত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরসিইপিতে যোগ দিতে আগ্রহী যে কোনো দেশকে আমরা স্বাগত জানাই।’ মালয়েশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী তেংকু জাফরুল আজিজ বলেন, অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ সম্মেলনে নতুন সদস্য গ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পাঁচ বছর পর এ সম্মেলনে আরসিইপি নেতারা মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন। ওই সম্মেলনে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির উন্নয়ন বা হালনাগাদ নিয়েও আলোচনা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নীতির বিরুদ্ধে আরসিইপি একটি সম্ভাব্য বাণিজ্যিক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে।
তবে সদস্য দেশগুলোর ভিন্নমুখী স্বার্থের কারণে এ চুক্তির শর্তগুলো তুলনামূলকভাবে কিছু অন্য আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির চেয়ে দুর্বল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, চিলি ও হংকংয়ের আগ্রহ বাস্তবে রূপ নিলে দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার নতুন বাজারও বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য জোটের অন্তর্ভুক্ত হবে।