সম্প্রতি স্থুলতা নিয়ে এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বাবার মেটাবলিক হেলথ বা বিপাকীয় স্বাস্থ্যের প্রভাব শুধু ছেলে-মেয়ে নয়, তার নাতির উপরও পড়তে পারে। অর্থাৎ, বাবা যদি মোটাসোটা হন, সন্তান ছাড়াও তার ফল ভোগ করতে পারে পরবর্তী প্রজন্ম।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টর চ্যাং ইনস্টিটিউট এবং গার্ভান ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল রিসার্চের একটি গবেষক দল এমনটাই দাবি করেছেন। ইঁদুরের উপরেই তারা এই পরীক্ষা চালান। এজন্য একটি মোটাসোটা ইঁদুরকে বেছে নেওয়া হয়। তাকে দিয়ে প্রজনন করানোর পর দেখা যায় তার বাচ্চা এবং বাচ্চার বাচ্চাও বিপাকীয় অসুখের ঝুঁকিতে আছে।
এই গবেষক দলটির দাবি, এটা একটা ব্রেকথ্রু। ভিক্টর চ্যাং ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ক্যাথরিন সুটার জানালেন, ইঁদুরের মতো মানুষের বিপাকীয় স্বাস্থ্যেও পূর্বসূরির স্থুলতার প্রভাব পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মায়ের গর্ভেই যেহেতু ভ্রূণ থাকে, তাই আমরা মনে করি মায়ের স্বাস্থ্যের প্রভাব সন্তানের মধ্যে পড়ে। গর্ভস্থ সন্তানের মধ্যে যে বাবার স্বাস্থ্যেরও প্রভাব পড়তে পারে, এ নিয়ে আমরা ভাবিই না।
সুটারের দাবি, বাবার নিউট্রিশন ও মেটাবলিক হেলথের প্রভাব যে ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মধ্যে ভালোরকমই পড়ে, সে প্রমাণ আমরা ল্যাবরেটরি পরীক্ষাতেই পেয়েছি। শুধু নাতি-নাতনি নয়, তার দাবি অনুযায়ী পরবর্তী তিন প্রজন্ম পর্যন্ত এর প্রভাব পড়তে পারে। জন্মের পরপরই ধরা না গেলেও উত্তর প্রজন্ম যখন হাই ফ্যাট, জাঙ্ক ফুড, মিষ্টিতে আসক্ত হয়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ধরা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। হতে পারে ডায়াবেটিক।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ