২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:২৪

'পানির অভ্যন্তরীণ উৎসকে কাজে লাগাতে নেয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা'

অনলাইন ডেস্ক

'পানির অভ্যন্তরীণ উৎসকে কাজে লাগাতে নেয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা'

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুপেয় পানির অভাব দূর করতে অভ্যন্তরীণ উৎসকে কাজে লাগাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে সুপেয় পানি সরবরাহে ওয়াটার গ্রীড লাইন স্থাপন করার লক্ষ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য সমীক্ষার কাজ  চলছে। 

আজ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে আইটিএন-বুয়েটের উদ্যোগে আয়োজিত 'শহরব্যাপী অন্তর্ভূক্তিমূলক স্যানিটেশনের প্রসার এবং স্যানিটেশন উদ্ভাবন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাসহ মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থার জন্য সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেকগুলো পূর্ব-শর্ত পূরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে ইকোনমিক জোন হচ্ছে যেখানে অনেক ধরনের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রচুর পানির প্রয়োজন হবে। এখন থেকে যদি পানি সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে সংকট দেখা দেবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তাজুল বলেন, দেশের পানির সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ঢাকা ওয়াসা সহ অন্যান্য ওয়াসা অনেকগুলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করেছে। 

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়ীর ও মেডিক্যাল বর্জ্যসহ সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হব। সকলকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন থাকতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকার অনেক বাসাবাড়ীর নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক নেই। তারা স্যুয়ারেজ লাইন সরাসরি লেকে বা খালের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। এব্যাপারেও সকলকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার খান।

এছাড়াও সভায় এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বুয়েটের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর