পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের কোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই সংকটের শুরু মিয়ানমারে, সমাধানও মিয়ানমারে।’
রোহিঙ্গা সংকটের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ‘রোহিঙ্গা সংকট: প্রত্যাবাসনের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ভার বহন করে চলেছে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চলেও পড়বে।’
‘মিয়ানমার এখনো পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে আসিয়ান ভূমিকা নিতে পারে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করি ছোট গ্রুপ হলেও প্রত্যাবাসন শুরু হবে।’
সেমিনারের বিশেষ অতিথি জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নয়েলিন হেইজার বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে কোনো উদ্যোগে তাদের (রোহিঙ্গাদের) যুক্ত করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে টেকসই সমাধান চায় বাংলাদেশ। আমি শরণার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তারা ফিরতে চান। তাদের এই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, মর্যাদার ভিত্তিতে। আর সেই পরিস্থিতি মিয়ানমারকেই তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জীবনমান নিশ্চিত করাও জরুরি। কেননা তাদেরও অন্যদের মতো ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ