বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত দেশ পেয়েছি। গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে না। আন্দোলনের প্রথম ধাপের বিজয় অর্জন হয়েছে। কিন্তু পরিপূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
শুক্রবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় নিহতদের কবর জিয়ারত, তাদের পরিবার পরিজনের সাথে সাক্ষাৎ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এসব কথা বলেন প্রিন্স।
শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রিন্স বলেন, আন্দোলনের বিজয় নস্যাৎ করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে দেশটির সরকারের হেফাজতে থেকে ষড়যন্ত্রের উস্কানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। হত্যাকারীরা যদি মনে করে বিদেশে পালিয়ে থেকে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে।
প্রিন্স আন্দোলনে নিহতদের জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান পূর্বক শহীদদের অসচ্ছল পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। বিএনপি সাধ্যমতো নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।
এ সময় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আউয়াল চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান রুপম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত