বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শাসক উচ্ছেদ হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। ব্যবস্থা বদল হয় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদল ছাড়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শোষণ বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া যাবে না। এটি করতে প্রয়োজন নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি, জনগণের সচেতনতা ও চলতি ব্যবস্থার পরিবর্তন। সিপিবি ও বামপন্থীরাই পারে এই কাজকে এগিয়ে নিতে।’
সিপিবির আহ্বানে দেশব্যাপী ‘শোষণ বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’র প্রথম দিন আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় ঢাকার পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। অথচ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে চলেছে। সার কীটনাশক ডিজেল বিদ্যুৎ পানির মূল্য বৃদ্ধি উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে তুলেছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে বন্দী। তারাই অন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ জনগণের পকেট ফাঁকা করে আর নিজেদের পকেট মোটা করে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে পুরো ব্যবস্থা বদল করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এখনও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা হচ্ছে না কেন? এটি তো আপনাদের অন্যতম দায়িত্ব। বিগত সরকার মানুষকে ভোট বঞ্চিত করে উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছে। এর কারণে ক্ষমতা ধরে রাখতে তাকে দিন দিন স্বৈরাচারী কর্তৃত্যবাদী হয়ে উঠতে হয়েছে। এখনো সংস্কারের গল্প শোনানো হচ্ছে, অথচ গণতন্ত্র ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরু করুন।’
পার্টির পল্টন থানা আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কার্তিক চক্রবর্তী। পার্টির ঢাকা মহানগর নেতা ত্রিদিব সাহা, মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকান্দার হায়াত, হয়রত আলী এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিনিধি/জুনাইদ