টাকার জন্য নিজের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে বিক্রি করে দিলেন এক মা। আর চলতি গাড়িতেই খদ্দেরদের হাতে গণধষর্ণের শিকার হলো মেয়েটি।
রাজস্থানের টোনকা এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ মাধ্যমে খবর অনুযায়ী, মেয়েটি ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে যেতে রাজি ছিল না। সেই কারণেই ওই ব্যক্তি তার এক বন্ধুর সঙ্গে মেয়েটিকে অপহরণ করে এবং ধর্ষণ করে। মেয়েটি নিজেকে বাঁচাতে চলন্ত জিপ থেকে লাফ দেয় ও সেখানে থেকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে পৌঁছায়। এমন কাহানী শুনে পুলিশও অবাক হয়ে যায়।
পুলিশ মেয়েটির মাকে শুক্রবার হিউম্যান ট্রাফিকিং ধারায় গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এই মামলায় দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে কেনার পর তাকে বিয়ে করেছিল, অন্য জন এই কেনা-বেচায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।
অভিযোগ, মেয়েটির স্বামী ও অন্য চার ব্যক্তি আলাদা আলাদা সময়ে তাকে ধর্ষণ করে।
ডেপুটি এসপি অমরজিত সিং জানিয়েছেন, মেয়েটি মধ্য প্রদেশের রতলামের বাসিন্দা। গত মাসে তার মা তাকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। ভিলবাড়ার বাসিন্দা ফারুখ এই কেনা-বেচার মধ্যমণি ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উমেশ শর্মা নামের এক ব্যক্তি মেয়েটিকে কেনে এবং তার মাকে অর্ধেক টাকা দেয়। ২ মে বিয়ের পর মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। মেয়েটি মায়ের বাড়ি ফিরে আসে ও ফিরে যেতে অস্বীকার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ মে মেয়েটির স্বামী মেয়েটিকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে আসে। তার সঙ্গে আরও তিনজন ব্যক্তি ছিল। রাস্তায় দুই ব্যক্তি মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তখন সে নিজেকে বাঁচাতে জিপ থেকে লাফ দিয়ে পুলিশ স্টেশনে পৌঁছায়।
সূত্র অনুযায়ী, মেয়েটির বাবা মারা গেছেন। অর্থের অভাবেই তার মা তাকে বিক্রি করে দেয়।
মেয়েটি জানিয়েছেন, তার স্বামীসহ মোট পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা উমেশ ও ফারুখকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে, পদম গুর্জর ও হরিতেশ মালির তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।