ইংল্যান্ডের ফ্লামবোরগের কিশোর স্কট কিনসে ১১ হাজার ৪০০টি ম্যাসেজ পাঠিয়েও পটাতে পারেনি কিশোরী ক্যাটি হকিন্সকে। উপরন্তু কিশোরীকে উত্যক্ত করার দায়ে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে তরুণ এই রোমিওকে।
হকিন্সের সঙ্গে কিনসের পরিচয় ফেসবুকে, ২০১৩ সালের মে মাসে। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যায় কিনসে। কিন্তু হকিন্স তাকে সাফ জানিয়ে দেয়, 'প্রেম-ট্রেম চলবে না, তবে বন্ধু হতে চাইলে রাজি আছি।' প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষেপে যায় ১৯ বছরের কিনসে। সে সমানে ম্যাসেজ পাঠতে থাকে প্রিয়তমা হকিন্সকে। সবমিলিয়ে সে ১১ হাজার ৪০০ ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিল হকিন্সকে। এগুলো পাঠানো হয়েছিল ৪ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। অর্থাৎ মাত্র ৩৮ দিনে সে এতগুলো বার্তা পাঠিয়েছিল। দিনে গড়ে ৩শ ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল সে।
একসময় ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে পুলিশের কাছে যায় হকিন্সের পরিবার। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করে। প্রসিকিউটর মাইকেল স্টুয়ার্ট লফটহাউস এ সম্পর্কে বলেন, 'তার ম্যাসেজের বেশিরভাগই ছিল যৌন হয়রানিমূলক এবং হুমকি ধামকিতে ভরা। এছাড়া সে একবার মিস হকিন্সের এক ছেলেবন্ধুকেও হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছিল।'
ইংল্যান্ডের ফ্লামবোরগের হল ক্রাইন কোর্ট কিনসের বিরুদ্ধে বুধবার হয়রানিরসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেসবুকে একজন কিশোরীকে হয়রানি এবং হুমকি দেয়ার অপরাধে তাকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।