সমস্ত কষ্ট দূর করে দেওয়ার নাম করে এক তান্ত্রিক প্রথমে বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু করে। যাদু-মন্ত্র নিয়মিত চলতে থাকে। একদিন সুযোগ বুঝে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়ির এক দলিত যুবতীকে অপহরণ করে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় রেখে পাঁচ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে ওই তান্ত্রিক।
ঘটনাটি ঘটে গত জানুয়ারী মাসে ভারতের বিজয়নগরে। যুবতী কোনভাবে তান্ত্রিকের কবল থেকে পালিয়ে গাজিয়াবাদ পৌঁছায়৷ বৃস্পতিবার রাতে যুবতী সিও’র কাছে অভিযোগ দায়ের করে৷ সিও’র নির্দেশে বিজয়নগর থানায় তান্ত্রিক ও দুই মহিলাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, বন্দী করে রাখা ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়৷ অভিযুক্তরা পলাতক৷
যুবতী পুলিশকে জানায়, তার মা অসুস্থ থাকেন৷ তার ভাই ও বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে৷ এসব থেকে মুক্তি মিলছিল না। বিরক্ত হয়েই প্রতিবেশী মহিলা নসির নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার আলাপ করায়৷ নসীর তাকে এক তান্ত্রিকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয়। তান্ত্রিক জানায়, মন্ত্র দিয়ে তার বাড়ির সমস্যা ঠিক করে ফেলা যাবে। অনেক দিনের সমস্যা, কিছুটা সময় লাগবে। তান্ত্রিক তাদের বাড়িতে আসতে শুরু করে৷ তান্ত্রিক তাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে তার মায়ের অসুখ দূর করে দেবে এবং পারিবারিক অশান্তিও৷ এরপর জানুযায়ী মাসে তাকে রুমাল শুকিয়ে অজ্ঞান করে তিন বন্ধুর সঙ্গে মিলে তাকে অপহরণ করে৷ এরপর তাকে বলন্দশহর ও খুর্জা এলাকায় নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে তাকে ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়৷ তান্ত্রিক তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে৷ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হত৷ চার জুন তান্ত্রিক বাড়িতে না থাকার সুযোগে যুবতী সেখান থেকে পালিয়ে আসে৷