জেলার বিরামপুর শহরে ধূমধামের সাথে বটগাছ ও পাকুড়গাছের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদিকালের কুসংস্কারকে আঁকড়ে ধরে এ বটগাছ ও পাকুড়গাছের বিয়ে দেখতে শত শত মানুষের ভিড় জমায় ওই বিয়ে বাড়ীতে।
আজ শুক্রবার বিকেলে বিরামপুরের পূর্বপাড়া মহল্লার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাছিয়া বেগমের বাড়ির উঠানে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ে বাড়িতে মিষ্টি বিতরণ ও খাওয়া-দাওয়ার আয়োজনসহ ৩ দিন ধরে চলে নাচগান ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়ের দিন শুক্রবার সকাল থেকেই ওই বাড়িতে শত শত উৎসুক মানুষ বর-কনেকে দেখতে ভিড় জমায়। আধুনিক যুগে এমন আজব বিয়ে দেখতে উৎসুক দর্শকদের খাওয়ানো হয় পান-শুপারী আর বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগদানকারীদের খাওয়ানো হয় ভাত-মাংস।
এলাকাবাসীরা জানায়, বিরামপুর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাছিয়া বেগমের বাড়ির উঠানে ২ বছর আগে একটি বট এবং তার কিছুদিন আগে একটি পাইকড় গাছের জন্ম হয়। বাড়িতে একসাথে বট-পাকুড় গাছ জন্ম নিলে তা মঙ্গলের প্রতীক ভেবে মাছিয়া বেগম(৫০) গাছ দু'টির পরিচর্যা করতে থাকেন।
মাছিয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, তিনি নাকি পূর্ব পুরুষের মূখে শুনেছেন, এক বাড়িতে বট-পাকুড়ের গাছ জন্মালে তাদের বিয়ে দিতে হয়। তাই তিনি গ্রামের সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ধূমধামের সাথে বট-পাকুড় গাছের বিয়ে দেন। বিয়ে উপলক্ষ্যে তিন দিন ধরে চলে নাচ-গান ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বর হিসেবে পাকুড় গাছকে পড়ানো হয়েছে নতুন লুঙ্গি-গামছা। আর কনে হিসেবে বট গাছকে পড়ানো হয়েছে নতুন লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি।
আগামী বর্ষকালে কথিত বর-কনেকে বাড়ি থেকে তুলে অন্য জায়াগায় একই গর্তে পুনঃরোপন করা হবে।
এ ব্যাপারে বিরামপুর পৌরসভার স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শওকত আলী সত্যতা স্বীকার করে জানান, এটা একটা কুষংস্কার।